করোনাকালের সব নিয়ম মেনে মাঠ-হোটেল আর খেলা চলাকালীন ক্যারিবীয়ান গোটা দলটাকে দেওয়া হবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। তিনস্তরের নিরাপত্তার প্রহরা থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পক্ষ থেকে। ঢাকায় নামার পর উইন্ডিজদের করা হবে ৫ ধাপে কোভিড পরীক্ষা। করোনা পরীক্ষা করা হবে হোটেলে অস্থানরত স্টাফদেরও।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলছেন, সফল সিরিজ আয়োজনে পুরোপুরি প্রস্তুত ক্রিকেট বোর্ড।
অপেক্ষা আর প্রত্যার্বতনের পরিসমাপ্তিটা বোধহয় এমনই মধুর। ১০ মাসের বন্ধ্যাত্ব, অবশেষে ক্রিকেট ফিরছে বাংলাদেশে। তবে সেখানে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার বিস্তার।
এমনিতেই করোনার দোহাইয়ে বাঘের ডেরায় আতিথ্য নিতে রাজি হয়নি উইন্ডিজদের ১০ সিনিয়র সদস্য। তাইতো এ নিয়ে পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরো বেশি সতর্ক বিসিবি। বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বললেন, কোভিড-প্রটোকলে ছাড় নয় বিন্দুমাত্র।
আকরাম খান বলেন, আমরা কোভিড নিয়ে খুবই সতর্ক অবস্থায় আছি৷ এর আগে যে দুইটা টুর্নামেন্টে হয়েছে সেখান থেকেও অনেক কিছু শিখেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই টুর্নামেন্টের সফলতার ওপর আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নির্ভর করবে।
তাহলে কৌতুহল মনে প্রশ্ন তুলছে, কিভাবে দেয়া হবে উইন্ডিজদের কোভিড থেকে নিরাপত্তা? খোলাসা করলেন বিসিবি চিকিৎসক। ৫ ধাপে নেগেটিভদেরই দেয়া হবে মাঠে খেলার সনদ।
বিসিবি’র চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, আমরা মোট ৫ দফা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করোনা পরীক্ষা করবো। যে হোটেলে থাকবে সেই হোটেলের মোট ৫০ জন স্টাফকে কোভিড পরীক্ষা করে বায়োবাবলের মধ্যে রাখা হবে। বাংলাদেশ দলকেও ২ দফায় করোনা পরীক্ষা করা হবে।
টিম হোটেল থেকে স্টেডিয়াম। সফরকারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়েও সজাগদৃষ্টি থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর। সাদা পোষাকের পাশাপাশি তিন স্তরের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে হাজার খানেক সদস্য।
মিরপুর জোনের ডিসি মাহাতাব রিপন বলেন, আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো। সাদা পোষাকেও নিরাপত্তা রক্ষাবাহিনী থাকবে। কোন ধরনের হুমকি নেই আমাদের কাছে। তবুও যেহেতু আমাদের দেশের ভাবমূর্তির বিষয়, সেখানে আমরা কোন ছাড় দেব না।
১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসবে ক্যারিবীয়ান ক্রিকেট দল। প্রায় দেড় মাসের সফর শেষে ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বে উইন্ডিজ দল।